পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন,
চ্যালেঞ্জিং এবং আনন্দদায়ক কাজ।
একটি সন্তানকে সঠিকভাবে লালন
পালন করে মানুষ করে তোলা বেশ
কঠিন একটি কাজ। এরজন্য বাবা-
মাকে করতে হয় কত না ত্যাগ
স্বীকার। সহ্য করতে হয় শত শত কষ্ট।
সন্তান সঠিকভাবে বড় করার জন্য যত্ন
নিতে হয়, ধৈর্য ধরতে হয়। অনেক সময়
তাদের মঙ্গলের জন্য নিতে হয় অনেক
কঠিন সিদ্ধান্ত! আপনার একটি ছোট
ভুল দূরত্ব সৃষ্টি করে দিতে পারে
আপনার এবং আপনার সন্তানের
মাঝে। তাই এইক্ষেত্রে সতর্ক
থাকতে হয় একটু বেশি। সন্তান লালন
পালনের ক্ষেত্রে বাবা-মাকে কিছু
বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা যায়
.boldsky, .parenting, .parents.com থেকে।
১। ধৈর্য
প্রতিটি বাবা-মাকে ধৈর্যশীল
হতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের
কাজে আপনি কিভাবে
প্রতিক্রিয়া করছেন। রেগে গিয়ে
খুব বেশি আক্রমাত্নক হয়ে পড়বেন না।
অতিরিক্ত বকা ঝকা বা মার আপনার
ভাবমূর্তি সন্তানের কাছে খারাপ
করে দিবে।
২। যত্ন
প্রতিটি বাবা মায়ই তার সন্তানের
যত্ন নিয়ে থাকেন। ভালোবেসে
থাকেন। কিন্তু অনেক সময় আমরা
নিজেদের অজান্তে এমন কিছু কাজ
করে থাকি যা সত্নানদের মনে
বাবা মার যত্ন নিয়ে প্রশ্ন জাগে। শত
ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানকে সময় দিন।
তাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রাখুন।
৩। ভাল কাজে প্রশংসা
প্রশংসা প্রতিটি মানুষ পছন্দ করে।
আপনার বাচ্চাটিও এর ব্যতিক্রম নয়।
তার ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করুন।
তা সে যত ছোট কাজই হোক না কেন ।
এই ছোট ছোট প্রশংসাগুলো তাকে
ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা দিবে।
৪। নিয়মানুবর্তিতা
আপনার সন্তানকে নিয়মানুবর্তিতা
শিখানোর আগে নিজের মাঝে
নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে আসুন। কারণ
সন্তানরা তাদের বাবা মাকেই
অনুসরণ করে থাকে। আপনি যে কাজ
বা ব্যবহার করে থাকবেন আপনার
সন্তানও সেটি অনুসরণ করবে।
৫। কোন সহিংসতা নয়
বাসার সহিংসতা আপনার সন্তানের
প্রতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
দিয়ে থাকে। সন্তানের সামনে
নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না।
উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত
থাকুন। মনে রাখবেন আপনার
সন্তানটি প্রতিনিয়ত আপনাকে
অনুসরণ করবে।
৬। তাদের সাথে খেলা করুন
আপনার সন্তানকে সময় দিন। তাদের
সাথে খেলা করুন। এই ছোট বিষয়টি
আপনার এবং আপনার সন্তানের মধ্যে
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করবে। Nick Stinnett,
Ph.D., professor of human development at the
University of Alabama and author of Fantastic
Families: 6 Proven Steps to Building a Strong
Family মনে করেন একসাথে খেলা
আপনাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী
বন্ডিং তৈরি করে থাকে।
৭। মার দেবেন না
আপনি যদি মনে করেন সন্তানকে মার
দেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে
নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দিবেন,
তবে আপনি ভুল ধারণা নিয়ে আছেন।
এটি তাদেরকে আরও বেশি একগুয়েঁ
একরোখা করে তুলবে। মারধোর না
করে তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন।
৮। সম্মান করুন
তাদেরকে সম্মান করুন, তাদের
মতামতে গুরুত্ব দিন। একেক শিশু একেক
রকম হয়ে থাকে। তাদের প্রতিভা,
ভালোলাগা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে
থাকে। তাদের উপর কোনকিছু
চাপিয়ে দিবেন না। তাদের
ভালোলাগাকে সম্মান করুন।
সন্তান লালনপালন করা অব্যশই কঠিন
একটি কাজ। তবে এটি নিয়ে খুব
বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না।
অভিভাবকত্বকে বোঝা না মনে
করে, এটিকে উপভোগ করুন। দেখবেন
আপনারা হয়ে গেছেন পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ বাবা মা।
No comments:
Post a Comment